আপনার মন্তব্য জানাতে ক্লিক করুন
আপনার নাম -
ই-মেল আই.ডি.-
আপনার মন্তব্য -
সিকিউরিটি কোড -
AMIO JETE CHAI.
- DHANANJOY KAMAR [2016-01-03]
নিশ্চয়ই যেতে পারবেন । কেন পারবেন না , আর Medical Certificate এর ব্যপারে কিছু medical office আছেন যারা একে বারেই co - operative নয় , আবার কেউ কেউ বেশ সুন্দর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন । আর আমার certificate এর জন্য প্রথমে কিছু অসুবিধা হলেও পরে সেটা পেয়ে যাই , তার জন্য আমাকে কিছু অতিরিক্ত test করাতে হয় । ২০১৬ তেই চলে যান । অন্য রকম অভিজ্ঞতা হবে । প্রসঙ্গ ক্রমে জানিয়ে রাখি এই ২০১৫ এর October মাসেই আমি নতুন পথে কেদারনাথ দর্শন করে এলাম । আগের পথ তো পুরপুরি নষ্ট হয়ে গেছে । নতুন পথে যাত্রার অভিজ্ঞতাটাও বেশ দারুণ ছিল । ভাল থাকবেন ।
- Subhranil Dey [2015-12-30]
Khub bhalo legeche, er age,recently, amarnath jatrar lekha porini. apnaar bondhur comment dekehe mone ash hoi, je jete parbo hoito, shudhu ekti koutuhol, apnaake, certificate ki kore dilo or approve korlo - apnar current health condition badha hoe daraini?
- suvra mitra [2015-12-26]
ধন্যবাদ শুভ্রনীলবাবু। আপনার উত্তর পড়ে মনে হচ্ছে আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনেক পরিশ্রম করেছেন। বিচলিত হবেন না। অনেক প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না। এক একটা বই এক একরকম কথা বলে। বর্তমানে নেট ঘেঁটে Wikipedia নামক একটি তথ্যের ভান্ডারের ওপর সবাই বিশ্বাস করেন, ref. দেন। এটাই নাকি শেষ কথা। তার একটা নমুনা দিচ্ছি। কিছুদিন আগে একটা লেখার ব্যাপারে আমি ঐ ভান্ডারের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। দু'টি জায়গার দুরত্ব একরকম শুনে এসেছিলাম। তবু নিশ্চিত হতে ঐ ভান্ডার থেকে দু'জায়গায় দু'রকম তথ্য পাই। এক জায়গায় ৬৪ কি.মি. অপর জায়গায় ৮৫ কি.মি.। আরও একটা উদাহরণ দিচ্ছি। A জায়গা থেকে B জায়গার দুরত্ব ৪৩ কি.মি.। A জায়গা থেকে C জায়গার অবস্থান ৫ কি.মি. দক্ষিণে। অথচ C জায়গা থেকে B জায়গার দুরত্ব ১৫৭ কি.মি.। সুতরাং চিন্তা করবেন না, লিখে যান। আমার মতো কেউ প্রশ্ন করলে জানবেন তিনি আপনার লেখার ওপর শুধু চোখ বোলান নি, খুঁটিয়ে পড়েছেন। আমি তো সেটাই কামনা করি, আপনি? ভালো থাকুন, লেখা চালিয়ে যান।
- সুবীর কুমার রায়। [2015-12-16]
মাননীয় সুবীর বাবু , আমি আপনার প্রশ্নের সাথে একদম সহমত । আপনার প্রশ্নটি একেবারে সংগত । কিন্তু যে কয়েকটি বই থেকে আমরা অমরনাথ যাত্রার প্রাচীন ইতিহাস জানতে পারি তার কোনও টা তেই সঠিক ভাবে কোনও সময় নির্দিষ্ট করা নেই । আপনার মতো আমার ও সন্দেহ আছে যে ৫০০০ বছর আগে মুসলিম ধর্মের কোনও অস্তিত্ব আদৌ ছিল কিনা , সন্দেহ না ছিলই না । কারণ ৫০০০ বছর আগে মানে প্রায় মহাভারতের সময়ের কথা । সেই সময় তখনও ভারতবর্ষে কোনও বহিরাগত জাতি প্রবেশ করেনি । যা আসার সে সব এসেছে তার পরে । আপনার জন্য তো বটেই আমি নিজের কৌতূহলেও এই সময়ের দূরত্ব মাপতে গিয়ে বেশ কিছু পড়াশুনা করে শেষ অবধি দুটো মত কে খানিকটাবিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়েছে । তাছাড়া সমস্ত জায়গাতেই অমরনাথ জীর গুহা আবিস্কারের সময় কে ২৫০ থেকে ৫০০০ বছরের লম্বা corridor এ রাখা হয়েছে । এটা মোটেই বাস্তব সম্মত হতে পারেনা । প্রথমত এটা হতে পারে যে বুটা মালিক বা আক্রম বাট মুসলিম সম্প্রদায়ের ছিলেনই না । কারণ সে সময়ে যারা মেষপালক ছিলেন তারা সম্ভবত অন্য কোনও সম্প্রদায়ের ( যেমন এখনকার গুর্জর বা তাদের কোনও পূর্ব পুরুষ ) ছিলেন । পরবর্তীকালে তাদের উত্তরপুরুষরা মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন ( যে রকম ভাবে তাতার , শক , হূন দের আক্রমণের পর কাশ্মীরে মুসলিম ধর্মের বিস্তার ঘটে ) । দ্বিতীয়ত কাশ্মীরের ইতিহাস যিনি লিপিবদ্ধ করেছেন সেই কবি কলহনের লেখা রাজতরঙ্গিনী বই থেকে জানা যায় যে আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগেও মানুষ অমরনাথ তীর্থের কথা জানত । আবার সম্রাট আকবরের সময়ে ( ১৫৫০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি ) তার সভাসদ আবুল ফজল তার আইনই আকবরি বইতে অমরনাথ যাত্রার সম্পূর্ণ বিবরণ লিপিবদ্ধ করে গেছেন । তার মানে এটাই দাঁড়ায় অমরনাথ গুহাকে আমরা ১৭০০ - ১৯০০ শতাব্দীর মাঝে কোনও এক সময় আমরা স্মৃতির অতলে হারিয়ে ফেলেছিলাম , এবং আক্রমবাট বা বুটা মালিক সেই সময়েই আবার অমরনাথ গুহাকে নিজের অজান্তেই খুঁজে বের করে । তার পরবর্তী কালে পুনরায় এই যাত্রা আবার স্বমহিমায় ফিরে আসে । যাই হোক আশা করি কিছুটা হলেও আপনার প্রশ্নের সঠিক (?) উত্তর দেবার চেষ্টা করলাম । আমার মনে এই খিদে তৈরি করার জন্য আবার ও আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । প্রণাম নেবেন । ।। শুভ্রনীল ।।
- Subhranil Dey [2015-12-16]
আমার কৌতুহলটা কিন্তু বুটা মালিক বা আক্রাম বাটকে নিয়ে নয়, বুটা মালিকের জায়গায় রাম, শ্যাম, নুরু মিঞা হলেও আপত্তি নেই। কিন্তু ৫০০০ বছর আগে ইসলাম ধর্মাবলম্বীটা ঠিক হজম করতে পারলাম না।
- সুবীর কুমার রায়। [2015-12-15]
মাননীয় সুবীর বাবু , প্রথমেই আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । এরপর আপনার প্রশ্নের জন্য আমি কয়েকটি বইয়ের উল্লেখ করছি । ১। ভারতের মন্দিরে মন্দিরে - শ্রী শিব শঙ্কর ভারতি ( page no. 27) ২। হিমালয় - শ্রী শঙ্কু মহারাজ ( page no. 54 ) এবং ৩। ভগিনী নিবেদিতার লেখা "THE MASTER AS I SAW HIM" বই থেকে কয়েকটা লাইন আমি হুবহু নিচে উল্লেখ করছি । He (Swami Vivekananda) said dreamily, "I can well imagine how this Cave was first discovered. A party of shepherds, one summer day, must have lost their flocks, and wandered in here in search of them. Then, when they came home to the valleys, they told how they had suddenly come upon Mahadev! মেষ পালকের নাম টা হয়ত কিছু ক্ষেত্রে সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে , বুটা মালিক হয়েছে আক্রাম বাট বা অন্য কিছু কিন্তু মুল বক্তব্য একই আছে । আর ধর্মীয় আবেগের কথায় বলি , আপনি হয়তো ঠিকই বলেছেন । লেখার ঝোঁকেই হয়তো আবেগটা একটু বেশী হয়ে গেছে । আরেকটু কম হলেই ভালো হতো । আপনার মতামত লেখাটাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে এটুকু বলতে পারি । আবারও আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই । প্রণাম নেবেন ।
- Subhranil Dey [2015-12-14]
আগে পড়ার সুযোগ হয় নি, আজ পড়লাম। খারাপ লাগলো না। আমি ১৯৮২ সালের জুলাই মাসে পহেলগাঁও থেকে হেঁটে অমরনাথ গিয়ে ঐ পথেই ফিরে এসেছিলাম। তখন জঙ্গীর ঝামেলা না থাকায়, পারমিট বা অন্যান্য ঝামেলা ছিল না। ফিরে এসে কাগজে দেখেছিলাম ৩০ বছরের মধ্যে এত তুষারপাত হয়নি। সত্যি মিথ্যে জানি না, তবে আমি সত্যিই ভাগ্যবান ছিলাম, তাই কষ্ট হলেও অত বরফের ওপর দিয়ে দীর্ঘ পথ হাঁটার সুযোগ হয়েছিল। বালতালের রাস্তা সম্বন্ধে আমার সঠিক ধারণা নেই, তাই ঐ ব্যাপারে কিছু না বলা-ই ভালো। লেখায় ধর্মীয় আবেগটা একটু কম হলে মন্দ লাগতো না। পরিশেষে বুটা মালিক প্রসঙ্গে একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করছে-- ৫০০০ বছর আগে ইসলাম ধর্মাবলম্বী বুটা মালিক? তথ্য বা গল্পটা কোথায় পেলেন? মোটের ওপর লেখাটা কিন্তু খারাপ লাগলো না।
- সুবীর কুমার রায়। [2015-12-10]
ভাই কাঞ্চন , তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ,তোমাদের সবার ভালবাসাই আমার সব থেকে বড় Power House , এভাবেই তোমাদের ভালবাসা যেন সব সময় পাশে পাই ।
- Subhranil Dey [2015-12-08]
আমি এই ভদ্রলোককে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। আমার বন্ধু। লেখাটিও আমার আগেই পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। তবে এই লেখায় যা থাকল না, তা হোলো অকল্পনীয় মনের জোর। খোঁড়ার গিরী লঙ্ঘন খুব শোনা কথা। এই ভদ্রলোক তার থেকেও বেশি কিছু করে দেখিয়েছেন। ওনার বুকের নিচের থেকে নাভির নিচ পর্যন্ত আড়াআড়ি কাটা। অপারেশনের পর আবার অসাবধানতা বশতঃ ব্যান্ডেজের সুতোর প্রান্ত রেখে দেওয়া, তা সেপ্টিক হয়ে যাওয়া। এছাড়াও যে সমস্যার জন্য এত বড় অপারেশন সেই সমস্যা পুরোপুরি না-মেটা। এই নিয়ে যে যুদ্ধ চলছে গত ৪/৫ বছর কি তারও বেশি সময় তার খুব সামান্যই বোঝা গেল আমার বর্ণনা থেকে। সম্প্রতি হায়দ্রাবাদের ডাক্তাররা বলে দিয়েছেন, "আপনার যা ক্ষতি করার করে দিয়েছে, আর কিছু করা যাবে না"। এই ভদ্রলোকের এখন আহার এককাপ সাদা ভাত ও গাদা গাদা ওষুধ (এর থেকে বোধহয় সামান্যই বেশি কিছু হবে) এবং হ্যাঁ, যা ভাবছেন একদম তাই, এই দীর্ঘ ও প্রাণান্তকর কষ্টের অমরনাথ যাত্রায়, যেখানে ঐ সামান্য সাদা ভাত পাওয়া যায় নি, সেখানে উনি সারাদিন অনাহারে বা অর্ধাহারে কাটিয়েছেন। এক সময় হাঁটুতেও চোট পান। আমি যা লিখলাম, তা বাস্তবে যা ঘটেছে তার কিয়দংশ মাত্র। বিশ্বাস না করতে পারলে, প্লিজ জোর করে বিশ্বাস করবেন না! আমি এই মহান ভক্তের ভক্তির কাছে নতজানু। (ক্ষমা করে দিয়ে শুভ্র, তমার অনুমতি না-নিয়েই এই কথা কটা সবাই কে না-জানিয়ে পারলাম না। তমার জয় হোক।)
- Kanchan Sengupta [2015-12-07]